৫. ওয়াক্ত নামাজের নিয়ত ও পরার নিয়ম

৫. ওয়াক্ত নামাজের নিয়ত
ফজরের নামাজ

 ফজরের নামাজ ু  মোট চার রাকাত । যথাঃ-- দুই রাকাত সুন্নত এবং  দুই রাকাত ফরয ।
প্রথমে দুই রাকাত সুন্নত এরং পরে দুই রাকাত ফরয আদায় করতে হয় ।

 ফজরের দুই রাকাত সুন্নাত নামাযের নিয়ত

 আরবি-উচ্চারনঃ--
 نَوَيْتُ اَنْ اُصَلِّىَ لِلَّهِ تَعَا لَى رَكْعَتَىْ صَلَوةِ الْفَجْرِ- ِسُنَّةُ للَّهِ تَعَا لَى مُتَوَجِّهًا اِلَى  جِهَةِ لْكَعْبَةِ الشَّرِ يْفَةِ اَللَّهُ اَكْبَرُ

বাংলা উচ্চারনঃ--নাওয়াইতু আন্ উসাল্লিয়া লিল্লা-হি তাআলা রাকয়াতাই সালাতিল ফাজরি, সুন্নাতু রাসুলিল্লা-হি তাআলা মুতাও য়াজজিহান্ ইলা জিহাতিল কা’বাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আক্বার।
বাংলা অর্থঃ-- ফজরের দুরাকাত সুন্নত নামাজ আদায় করার উদ্দেশ্যে কিবলামুখী! হয়ে নিয়্যত করলাম, আল্লাহু আকবার।

 ফজরের দুই রাকাত ফরজ নামাযের নিয়ত

 আরবি-উচ্চারনঃ--
 نَوَيْتُ اَنْ اُصَلِّىَ لِلَّهِ تَعَا لَى رَكْعَتَىْ صَلَوةِ الْفَجْرِ فَرْضُ للَّهِ تَعَا لَى مُتَوَجِّهًا اِلَى جِهَةِ لْكَعْبَةِ الشَّرِ يْفَةِ اَللَّهُ اَكْبَرُ
 বাংলা উচ্চারনঃ--নাওয়াইতু আন্ উসাল্লিয়া লিল্লা-হি তাআলা রাকয়াতাই সালাতীল ফাজরি, ফারজুল্লা-হি তায়ালা মুতাওয়াজজিহান! ইলা জিহাতিল কা’বাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।
 বাংলা অর্থঃ-- ফজরের দুরাকাত ফরয নামাজ আদায় করার উদ্দেশ্যে কিবলামুখী! হয়ে নিয়্যত করলাম, আল্লাহু আকবার।

 বিশেয় দ্রষ্টব্যঃ ইমামতি করিতে-আনা ইমামুল্লিমান হাজারা ও মাইয়্যাফজুরু সহ মুতাওয়াজ্জিহান বলতে হবে আর ইমামের পীছনে নামাজ পড়িতে হলে বলতে হবে(এক্তাদাইতু বিহা-যাল ইমামি মুতা ওয়াজ্জিহান…)।

 যোহরের নামাজ

 যোহরের নামাজ মোট দশ রাকাত আদায় করতে হয় ।

যেমনঃ-- প্রথমে চার রাকাত সুন্নত ,এরপর চার রাকাত ফরয এরং এরপর! দুই রাকাত সুন্নত। নিম্নে উচ্চারণ ও অর্থসহ নিয়তসমূহ দেয়া হলোঃ---

 যোহরের সুন্নাত চার রাকাত নামাযের নিয়ত

 আরবি-উচ্চারনঃ--


 نَوَيْتُ اَنْ اُصَلِّىَ لِلَّهِ تَعَا لَى اَرْبَعَ رَكْعَتِ صَلَوةِ الْظُهْرِسُنَّةُ رَسُوْلِ للَّهِ تَعَا لَى مُتَوَجِّهًا اِلَى جِهَةِ الْكَعْبَةِ الشَّرِ يْفَةِ اَللَّهُ اَكْبَرُ '"
বাংলা উচ্চারনঃ--নাওয়াইতুয়ান উসালি্লয়া লিল্লাহি তা’আলা আরবায়া রাকাআতি ছালাতিল জোহরে সুন্নাতু রাসূলিল্লাহি তা’য়াল মোতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কাবাতিশ শারিফাতি আল্লাহু আকবার
 বাংলা অর্থঃ--যোহরের চার  ু  রাকাত সুন্নত নামাজ আদায় করার উদ্দেশ্যে কিবলামুখী! হয়ে নিয়্যত করলাম, আল্লাহু আকবার।

যোহরের ফরয চার রাকাত নামাযের নিয়ত
 
আরবি-উচ্চারনঃ--

 نَوَيْتُ اَنْ اُصَلِّىَ لِلَّهِ تَعَا لَى اَرْبَعَ رَكْعَتِ صَلَوةِ الْظُهْرِ فَرْضُ اللَّهِ تَعَا لَى مُتَوَجِّهًا اِلَى جِهَةِ الْكَعْبَةِ الشَّرِ يْفَةِ اَللَّهُ اَكْبَرُ-"
বাংলা উচ্চারনঃ--নাওয়াইতুয়ান উসাল্লিয়া লিল্লাহি তা’আলা আরবায়া! রাকাআতি ছালাতিজ জোহরে ফারজুল্লাহি তা’য়ালা মোতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কাবাতীশ শারিফাতি আল্লাহু আকবার।
বাংলা অর্থঃ-- যোহরের চার রাকাত ফরজ ু  নামাজ আদায় করার উদ্দেশ্যে কিবলামুখী! হয়ে নিয়্যত করলাম, আল্লাহু আকবার।

যোহরের সুন্নাত দুই রাকাত নামাযের নিয়ত

 আরবি-উচ্চারনঃ--

 نَوَيْتُ اَنْ اُصَلِّىَ لِلَّهِ تَعَا لَى رَكْعَتِ صَلَوةِ الْظُهْرِسُنَّةُ رَسُوْلِ للَّهِ تَعَا لَى مُتَوَجِّهًا اِلَى جِهَةِ الْكَعْبَةِ الشَّرِ يْفَةِ اَللَّهُ اَكْبَرُ-

 বাংলা উচ্চারনঃ--নাওয়াইতুয়ান ু উসালি্লয়া লিল্লাহি তা’আলা রাকায়াতাই ছালাতিজ জোহরে সুন্নাতু রাসূলিল্লাহি তা’য়ালা মোতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কাবাতিশ শারিফাতি আল্লাহু আকবর
বাংলা অর্থঃ-- যোহরের দুরাকাত সুন্নত নামাজ আদায় করার উদ্দেশ্যে কীবলামুখী হয়ে নিয়্যত করলাম, আল্লাহু আকবার।

যোহরের নফল দুই রাকাতের নিয়ত

 আরবি-উচ্চারনঃ--ঁ

 نَوَيْتُ اَنْ اُصَلِّىَ لِلَّهِ تَعَا لَى رَكْعَتِ صَلَوةِالْنَفْلِ مُتَوَجِّهًا اِلَى جِهَةِ الْكَعْبَةِ الشَّرِ يْفَةِ اَللَّهُ اَكْبَرُ-"

 বাংলা উচ্চারনঃ-- নাওয়াইতুয়ান উসালি্লয়া লিল্লাহি তা’আলা! রাকাআতি ছালাতিল নফলে মোহাওয়াজ্জিহান ইলা জীহাতিল কাবাতিশ  আল্লাহু আকবার।
 বাংলা অর্থঃ-- জোহরের দুরাকাত নফল নামাজ আদায় করার উদ্দেশ্যে কীবলামুখী হয়ে নিয়্যত করলাম, আল্লাহু আকবার।

 আছরের নামাজ

 প্রকাশ থাকে যে ,আছরের চার রাকাত ফরয নামাজের আগে চার রাকাত সুন্নতে যাওয়ায়েদ (অতিরিক্ত )! নামাজ আছে ।!  কোন লোক যদি এ চার রাকাত নামাজ আদায় করে ,তাহলে অনেক ছাওয়াব পাবে । আর যদি কোন লোক আদায় না করে তাহলে কোন পাপ হবে না ।! তবে যেহেতু ছাওয়াব আছে সেহেতু আদায় করা উত্তম ।

 আছরের চার রাকাাত সুন্নাত নিয়্যাত

 আরবি-উচ্চারনঃ--

  نَوَيْتُ اَنْ اُصَلِّىَ لِلَّهِ تَعَا لَى اَرْبَعَ رَكْعَتِ صَلَوةِ الْعَصْرِسُنَّةُ رَسُوْلِ للَّهِ تَعَا لَى مُتَوَجِّهًا اِلَى جِهَةِ الْكَعْبَةِ الشَّرِ يْفَةِ اَللَّهُ اَكْبَرُ-
বাংলা উচ্চারনঃ-- উচ্চারনঃ নাওয়াইতুয়ান উসালি্লয়া লিল্লাহি তা’আলা! আরবায়া রাকাআতি ছালাতিল! আসরি সুন্নাতু রাসূলিল্লাহি তা’য়াল মোতাওয়াজ্জিহান! ইলা জিহাতিল' কাবাতিশ শারিফাতি আল্লাহু আকবর"।

 বাংলা অর্থঃ-- আছরের চার রাকাত সুন্নাতু নামাজ আদায় করার উদ্দেশ্যে কিবলামুখী! হয়ে নিয়্যত করলাম, আল্লাহু আকবার।

 আছরের চার রাকাাত ফরজ নামাযের নিয়ত আরবি-উচ্চারনঃ--

 نَوَيْتُ اَنْ اُصَلِّىَ لِلَّهِ تَعَا لَى اَرْبَعَ رَكْعَتِ صَلَوةِ الْعَصْرِ فَرْضُ اللَّهِ تَعَا لَى مُتَوَجِّهًا اِلَى جِهَةِ الْكَعْبَةِ الشَّرِ يْفَةِ اَللَّهُ اَكْبَرُ " 
বাংলা উচ্চারনঃ--নাওয়াইতুয়ান উসালি্লয়া লিল্লাহি তা’আলা! আরবায়া রাকাআতি ছালাতিল আসরি ফারযুল্লাহি তা’য়াল মোতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কাবাতীশ শারিফাতি আল্লাহু আকবর।

বাংলা অর্থঃ-- আছরের চার রাকাত ফরজ নামাজ আদায়' করার উদ্দেশ্যে কিবলামুখী হয়ে নিয়্যত করলাম, আল্লাহু আকবার!।


 মাগরিবের নামাজ

 মাগরিবের নামাজ মোট পাঁচ রাকাত । যেমনঃ---তিন রাকাত ফরয আর দুই রাকাত সুন্নত । মাগরিবের তিন রাকাত ফরযের নিয়্যাত

 আরবি-উচ্চারনঃ--

 نَوَيْتُ اَنْ اُصَلِّىَ لِلَّهِ تَعَا لَى ثَلَثَ رَكْعَتِ صَلَوةِ الْمَغْرِبِ فَرْضُ اللَّهِ تَعَا لَى مُتَوَجِّهًا اِلَى جِهَةِ الْكَعْبَةِ الشَّرِ يْفَةِ اَللَّهُ اَكْبَرُ " 
উচ্চারণঃ নাওয়াইতুয়ান উসালি্লয়া লিল্লাহি তা’আলা সালাছা রাকায়াতি ছালাতিল মাগরিবে ফারযুল্লাহি তায়ালা! মোতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কাবাতি শারিফাতি আল্লাহু আকবার।
বাংলা অর্থঃ-- মাগরিবের তিন রাকাত ফরয নামাজ আদায়! করার উদ্দেশ্যে কিবলামুখী! হয়ে নিয়্যত করলাম, আল্লাহু আকবার"।

 মাগরিবের দুই রাকাত সুন্নাত নামাযের নিয়্যাত

 আরবি-উচ্চারনঃ--
 نَوَيْتُ اَنْ اُصَلِّىَ لِلَّهِ تَعَا لَى رَكْعَتِ صَلَوةِ الْمَغْرِبِ " سُنَّةُ رَسُوْ ا الِلَّهِ تَعَا لَى مُتَوَجِّهًا اِلَى جِهَةِ الْكَعْبَةِ الشَّرِ يْفَةِ اَللَّهُ اَكْبَرُ
 উচ্চারণঃ নাওয়াইতুয়ান উসালি্লয়া লিল্লাহি তা’আলা রাকায়াতি ছালাতীল মাগরিবে সুন্নাতু রাসুলল্লাহি তা’য়ালা মোতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কা’বাতি শারিফাতি আল্লাহু আকবার। বাংলা অর্থঃ-- মাগরিবের দুই রাকাত সুন্নাত নামাজ আদায় করার উদ্দেশ্যে কীবলামুখী হয়ে নিয়্যত করলাম, আল্লাহু আকবার।

 এশার নামাজ এশার

নামাজ মোট দশ রাকাত ।! প্রথমে চার রাকাত সুন্নত ,এরপর চার রাকাত ফরয এরং এরপর দুই রাকাত সুন্নত ।"  এশার নামাযের পূর্বেও আছরের নামাযের ন্যায় চার রাকাত সুন্নাতে যায়েদাহ নামায আদায় করলে অসংখ্য ছাওয়াব পাওয়া যায় ।" আর না পাড়লে কোন গুনাহ হবে না তবে সময় থাকলে পড়ে নেয়া ভালো ।"  প্রকাশ থাকে যে বেতের নামায যদিও পৃথক সময়ের নামাজ,কিন্তু এ নামায মানুষ সাধারনত এশার! নামাযের সাথেই আদায় করে থাকে!।" বলে এ তিন রাকাত বেতের নামাযকে এশার নামাযের পড়ে উল্লেখ করা হলো!।

এশার চার রাকাত সুন্নত নামযের নিয়্যাত।"


 আরবি-উচ্চারনঃ--
 نَوَيْتُ اَنْ اُصَلِّىَ لِلَّهِ تَعَالَى اَرْبَعَ رَكْعَتِ صَلَوةِ," الْعِشَاءِسُنَّةُ رَسُوْلِ, للَّهِ تَعَا لَى مُتَوَجِّهًا اِلَى جِهَةِ الْكَعْبَةِ الشَّرِ يْفَةِ اَللَّهُ اَكْبَرُ
উচ্চারনঃ নাওয়াইতুয়ান উসালি্লয়া লিল্লাহি তা’আলা আরবায়া রাকাআতী ছালাতিল এশাই সুন্নাতু রাসূলিল্লাহি তা’য়াল! মোতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কাবাতীশ শারীফাতি আল্লাহু আকবর।
 বাংলা অর্থঃ-- এশার চার' রাকাত সুন্নত নামাজ আদায় করার উদ্দেশ্যে কিবলামুখী! হয়ে নিয়্যত করলাম, আল্লাহু আকবার।

 এশার চার রাকাত ফরজ নামযের নিয়্যাত।

 আরবি-উচ্চারনঃ--
 نَوَيْتُ اَنْ اُصَلِّىَ - لِلَّهِ تَعَا لَى اَرْبَعَ رَكْعَتِ صَلَوةِ الْعِشَءِ فَرْضُ اللَّهِ تَعَا لَى مُتَوَجِّهًا اِلَى جِهَةِ الْكَعْبَةِ الشَّرِ يْفَةِ اَللَّهُ اَكْبَرُ
উচ্চারনঃ নাওয়াইতুয়ান উসালি্লয়া লিল্লাহি তা’আলা আরবায়া রাকাআতি ছালাতিল এশাই ফারযুল্লাহি তা’য়াল মোতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কাবাতিশ শারিফাতি আল্লাহু আকবর। বাংলা অর্থঃ-- এশার চার রাকাত ফরজ নামাজ আদায় করার উদ্দেশ্যে কিবলামুখী হয়ে নিয়্যত করলাম, আল্লাহু আকবার।

বিশেয় দ্রষ্টব্যঃ ইমামতি করীতে-আনা ইমামুল্লিমান হাজারা ও মাইয়্যাফজুরু সহ মুতাওয়াজ্জিহান বলতে হবে আর ইমামের পিছনে নামাজ পড়িতে হলে বলতে হবে!(এক্তাদাইতু বিহা-যাল ইমামি মুতা ওয়াজ্জিহান…)। এশার দুই রাকাত সুন্নাত নামাযের নিয়ত

 আরবি-উচ্চারনঃ--
 نَوَيْتُ اَنْ اُصَلِّىَ لِلَّهِ تَعَا لَى اَرْبَعَ رَكْعَتِ صَلَوةِ الْعِشَءِ فَرْضُ اللَّهِ تَعَا لَى مُتَوَجِّهًا اِلَى جِهَةِ الْكَعْبَةِ الشَّرِ يْفَةِ اَللَّهُ اَكْبَرُ
উচ্চারনঃ নাওয়াইতুয়ান উসালি্লয়া লিল্লাহি তা’আলা রাকাআতি ছালাতীজ এশাই সুন্নাতু রাসূলিল্লাহি তা’য়াল মোতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কাবাতিশ শারিফাতি আল্লাহু আকবর।
 বাংলা অর্থঃ-- এশার চার রাকাত ফরজ নামাজ আদায় করার উদ্দেশ্যে কিবলামুখী! হয়ে নিয়্যত করলাম, আল্লাহু আকবার"।

 বিতরের নামায

পড়িবার নিয়ম বিভিন্ন ইমাম সাহেবগনের মতে বেতেরের নামায এশার নামাযের পর হতে সুবহি সাদিকের পূর্ব মূহূর্ত পর্যন্ত থাকে ।!  কিন্তু আমাদের ইমাম আবু হান্রীফা (রহঃ)!-এর মতে এশার বেতের নামাযের একই সময় । (দুররুল মুখতার )"  বেতেরের নামায নির্দিষ্ঠ সময়ের মধ্যেই আদায় করতে হয়! । কিন্তু যারা শেষ রাতে তাহাজ্জুদ নামায আদায়ের উদ্দেশ্যে জাগ্রত থাকার অভ্যাস করেছেন, কেবল ঐ সব লোকেরাই শেষ রাত তাহাজ্জুদের পর বেতেরের নামায আদায় করতে পারেন! । কেননা রাসুলে কারীম (সঃ) এ নিয়মেই আদায় করতেন । আর যাদের শেষ রাতে ঘুম হতে জাগ্রত হওয়ার অভ্যাস নেই, তারা অবশ্যই এশার নামাযের সাথেই আদায় করবে! । বেতেরের তিন রাকাত নামাযের নিয়ত করে তাকবীরে তাহরীমা বেঁধে যথার্রীতি দুই রাকাতের পর বসে তাশাহুদ পাঠ করে দাঁড়িয়ে তৃতীয় রাকাতে সূরা- কিরাত পাঠ করে পুনরায় তাহরীমা বেঁধে দোয়ায় কুনুত পাঠ করে যথারীতি রুকু-সিজদা ও শেষ বৈঠকের পর সালাম ফিরিয়ে নামায সমাপ্ত করবে"। বিতিরের নামাযের নিয়্যাত

 আরবি-উচ্চারনঃ--
 
نَوَيْتُ اَنْ اُصَلِّىَ لِلَّهِ تَعَا لَى ثَلَثَ رَكْعَتِ صَلَوةِ - الْوِتْرِوَاجِبُ اللَّهِ تَعَا لَى مُتَوَجِّهًا اِلَى جِهَةِ الْكَعْبَةِ الشَّرِ يْفَةِ اَللَّهُ اَكْبَرُ
উচ্চারনঃ নাওয়াইতুয়ান উসালি্লয়া লিল্লাহি তা’আলা সালাছা রাকায়াতি ছালাতিল! বিতরে ওয়াজিবুল্লাহি তা’য়ালা মোতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কা’বাতিশ্ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।
 বাংলা অর্থঃ--আমি আল্লাহর উদ্দেশ্যে বেতের তিন রাকাত ওয়াজিব! নামাজ আদায় করার নিয়্যত করলাম, আল্লাহু আকবার।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন