40) সূরা আল-মু’মিন - Surah Al-Mu'min মক্কায় অবতীর্ণ - Ayah 85

Quraan Shareef

40) সূরা আল-মু’মিন - Surah Al-Mu'min! মক্কায় অবতীর্ণ - Ayah 85

بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيمِ

উচ্চারণঃ বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম!

অর্থ: (শুরু করছি আল্লাহর নামে') যিনি পরম করুণাময়!, অতি দয়ালু

حٰمٓۚ(1.)

উচ্চারণঃ হা-মীম
অর্থ: হা-মীম।

تَنْزِیْلُ الْكِتٰبِ مِنَ اللّٰهِ الْعَزِیْزِ الْعَلِیْمِۙ(2.)

উচ্চারণঃ তানঝীলুল কিতা-বি মিনাল্লা-হিল ‘আঝীঝিল ‘আলীম।
অর্থ: কিতাব অবতীর্ণ' হয়েছে আল্লাহর পক্ষ থেকে!, যিনি পরাক্রমশালী, সর্বজ্ঞ।,

غَافِرِ الذَّنْۢبِ وَ قَابِلِ التَّوْبِ شَدِیْدِ الْعِقَابِۙ-ذِی -.الطَّوْلِؕ-لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا هُوَؕ-اِلَیْهِ الْمَصِیْرُ.(3.)

উচ্চারণঃ গাফিরিযযামবি ওয়া! কাবিলিততাওবি শাদীদিল '‘ইকা-বি যিততাওলি লাইলাহা ইল্লা-হুওয়া!, ইলাইহিল মাসীর।

অর্থ: পাপ ক্ষমাকারী, তওবা কবুলকারী, কঠোর শাস্তিদাতা ও সামর্থ । তিনি ব্যতীত কোন উপাস্য নেই। তাঁরই দিকে হবে প্রত্যাবর্তন।

مَا یُجَادِلُ -فِیْۤ اٰیٰتِ اللّٰهِ اِلَّا الَّذِیْنَ كَفَرُوْا-. فَلَا یَغْرُرْكَ تَقَلُّبُهُمْ فِی الْبِلَادِ.(4.)

উচ্চারণঃ মা-ইউজা-দিলুফীআ-য়া-তিল্লা-হি ইল্লাল্লাযীনা কাফারূফালা-ইয়াগরুরকা তাকাল্লুবুহুম ফিল বিলা-দ।

অর্থ: কাফেররাই কেবল আল্লাহর আয়াত সম্পর্কে বিতর্ক করে। কাজেই নগরীসমূহে তাদের বিচরণ যেন আপনাকে বিভ্রান্তিতে না ফেলে।

كَذَّبَتْ قَبْلَهُمْ- قَوْمُ نُوْحٍ وَّ الْاَحْزَابُ- مِنْۢ بَعْدِهِمْ۪-وَ هَمَّتْ كُلُّ اُمَّةٍۭ بِرَسُوْلِهِمْ لِیَاْخُذُوْهُ وَ جٰدَلُوْا بِالْبَاطِلِ-. لِیُدْحِضُوْا بِهِ الْحَقَّ فَاَخَذْتُهُمْ- فَكَیْفَ كَانَ عِقَابِ.(5.)

উচ্চারণঃ কাযযাবাত কাবলাহুম কাওমুনূহিওঁ ওয়াল আহঝা-বুমিম বা‘দিহিম ওয়া হাম্মাত কুল্লুউম্মাতিম বিরাছূলিহিম লিইয়া’খুযূহু ওয়া জা-দালূবিলবা-তিলি লিইউদহিদূ বিহিল হাক্কা ফাআখাযতুহুম ফাকাইফা কা-না ‘ইকা-ব।

অর্থ: তাদের পূর্বে নূহের সম্প্রদায় মিথ্যারোপ করেছিল, আর তাদের পরে অন্য অনেক দল ও প্রত্যেক সম্প্রদায় নিজ নিজ পয়গম্বরকে আক্রমণ করার ইচ্ছা করেছিল এবং তারা মিথ্যা বিতর্কে প্রবৃত্ত হয়েছিল, যেন সত্যধর্মকে ব্যর্থ করে দিতে পারে। অতঃপর আমি তাদেরকে পাকড়াও করলাম। কেমন ছিল আমার শাস্তি।

وَ كَذٰلِكَ حَقَّتْ كَلِمَتُ رَبِّكَ عَلَى-. الَّذِیْنَ كَفَرُوْۤا اَنَّهُمْ- اَصْحٰبُ النَّارِۘؔ.(6.)

উচ্চারণঃ ওয়া কাযা-লিকা হাক্কাত কালিমাতুরাব্বিকা! ‘আলাল্লাযীনা কাফারূআন্নাহুম আসহা-বুন্নার।,

অর্থ: এভাবে কাফেরদের বেলায় আপনার পালনকর্তার এ বাক্য সত্য হল যে, তারা জাহান্নামী।

اَلَّذِیْنَ یَحْمِلُوْنَ الْعَرْشَ -. وَ مَنْ حَوْلَهٗ یُسَبِّحُوْنَ بِحَمْدِ رَبِّهِمْ وَ یُؤْمِنُوْنَ بِهٖ وَ یَسْتَغْفِرُوْنَ لِلَّذِیْنَ اٰمَنُوْاۚ.-رَبَّنَا وَسِعْتَ كُلَّ شَیْءٍ رَّحْمَةً وَّ -. عِلْمًا فَاغْفِرْ لِلَّذِیْنَ تَابُوْا وَ اتَّبَعُوْا-. سَبِیْلَكَ وَ قِهِمْ عَذَابَ الْجَحِیْمِ.(7.)

উচ্চারণঃ আল্লাযীনা ইয়াহমিলূনাল‘আরশা! ওয়া মান হাওলাহূইউছাব্বিহূনা! বিহামদি রাব্বিহিমওয়া ইউ’মিনূনা বিহী ওয়া ইয়াছতাগফিরূনা! লিল্লাযীনা আ-মানূ রাব্বানা-ওয়াছি‘তা কুল্লা! শাইয়িররাহমাতাওঁ ওয়া! ‘ইলমান ফাগফির লিল্লাযীনা তা-বূওয়াত্তাবা‘ঊ ছাবীলাকা ওয়াকিহিম! ‘আযা-বাল জাহীম।

অর্থ: যারা আরশ বহন করে! এবং যারা তার চারপাশে আছে!, তারা তাদের পালনকর্তার সপ্রশংস পবিত্রতা বর্ণনা করে!, তার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে এবং মুমিনদের জন্যে ক্ষমা প্রার্থনা করে বলে!, হে আমাদের পালনকর্তা!, আপনার রহমত ও জ্ঞান সবকিছুতে পরিব্যাপ্ত। অতএব, যারা তওবা করে এবং আপনার পথে চলে!, তাদেরকে ক্ষমা করুন! এবং জাহান্নামের আযাব থেকে রক্ষা করুন।,

رَبَّنَا وَ اَدْخِلْهُمْ جَنّٰتِ عَدْنِ ﹰالَّتِیْ وَعَدْتَّهُمْ وَ مَنْ صَلَحَ مِنْ اٰبَآىٕهِمْ وَ اَزْوَاجِهِمْ وَ ذُرِّیّٰتِهِمْؕ-اِنَّكَ اَنْتَ الْعَزِیْزُ الْحَكِیْمُۙ(8.)

উচ্চারণঃ রাব্বানা-ওয়া আদখিলহুম জান্না-তি ‘আদনি নিল্লাতী ওয়া ‘আত্তাহুম ওয়া মান সালাহা মিন আবাইহিম ওয়া আঝওয়া-জিহিম ওয়া যুররিইয়া-তিহিম ইন্নাকা আনতাল ‘আঝীঝুল হাকীম।

অর্থ: হে আমাদের পালনকর্তা, আর তাদেরকে দাখিল করুন চিরকাল বসবাসের জান্নাতে, যার ওয়াদা আপনি তাদেরকে দিয়েছেন এবং তাদের বাপ-দাদা, পতি-পত্নী ও সন্তানদের মধ্যে যারা সৎকর্ম করে তাদেরকে। নিশ্চয় আপনি পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।


وَ قِهِمُ السَّیِّاٰتِؕ-وَ مَنْ تَقِ السَّیِّاٰتِ یَوْمَىٕذٍ فَقَدْ رَحِمْتَهٗؕ-وَ ذٰلِكَ هُوَ الْفَوْزُ الْعَظِیْمُ۠(9.)

উচ্চারণঃ ওয়া কিহিমুছ ছাইয়িআ-তি ওয়া মান তাকিছ ছাইয়িআ-তি ইয়াওমায়িযিন ফাকাদ রাহিমতাহূ ওয়া যা-লিকা হুওয়াল ফাওঝুল ‘আজীম।

অর্থ: এবং আপনি তাদেরকে অমঙ্গল! থেকে রক্ষা করুন.। আপনি যাকে সেদিন অমঙ্গল থেকে রক্ষা করবেন!, তার প্রতি অনুগ্রহই করবেন.। এটাই মহাসাফল্য।.


اِنَّ الَّذِیْنَ كَفَرُوْا یُنَادَوْنَ لَمَقْتُ اللّٰهِ اَكْبَرُ مِنْ مَّقْتِكُمْ اَنْفُسَكُمْ اِذْ تُدْعَوْنَ اِلَى الْاِیْمَانِ فَتَكْفُرُوْنَ(10.)

উচ্চারণঃ ইন্নাল্লাযীনা কাফারূইউনা-দাওনা লামাকতুল্লা-হি আকবারু মিম্মাকতিকুম আনফুছাকুম ইয তুদ‘আওনা ইলাল ঈমা-নি ফাতাকফুরূন।

অর্থ: যারা কাফের তাদেরকে উচ্চঃস্বরে বলা হবে, তোমাদের নিজেদের প্রতি তোমাদের আজকের এ ক্ষোভ অপেক্ষা আল্লার ক্ষোভ অধিক ছিল, যখন তোমাদেরকে ঈমান আনতে বলা হয়েছিল, অতঃপর তোমরা কুফরী করছিল।


قَالُوْا رَبَّنَاۤ اَمَتَّنَا اثْنَتَیْنِ وَ اَحْیَیْتَنَا اثْنَتَیْنِ فَاعْتَرَفْنَا بِذُنُوْبِنَا فَهَلْ اِلٰى خُرُوْجٍ مِّنْ سَبِیْلٍ(11.)

উচ্চারণঃ কা-লূ রাব্বানা আমাত্তানাছনাতাইনি ওয়া আহয়াইতানাছনাতাইনি ফা‘তারাফনাবিযুনূবিনা ফাহাল ইলা-খুরূজিম মিন ছাবীল।

অর্থ: তারা বলবে হে আমাদের পালনকর্তা! আপনি আমাদেরকে দু’বার মৃত্যু দিয়েছেন এবং দু’ বার জীবন দিয়েছেন। এখন আমাদের অপরাধ স্বীকার করছি। অতঃপর এখন ও নিস্কৃতির কোন উপায় আছে কি?


ذٰلِكُمْ بِاَنَّهٗۤ اِذَا دُعِیَ-. اللّٰهُ وَحْدَهٗ كَفَرْتُمْۚ-وَ اِنْ یُّشْرَكْ بِهٖ تُؤْمِنُوْاؕ-. فَالْحُكْمُ لِلّٰهِ الْعَلِیِّ الْكَبِیْرِ.(12.)

উচ্চারণঃ যা-লিকুম বিআন্নাহূইযা-দু‘ইয়াল্লা-হু ওয়াহদাহূকাফারতুম ওয়া ইয়ঁইউশরাক বিহী তু’মিনূ ফালহুকমুলিল্লা-হিল ‘আলিইয়িল কাবীর।

অর্থ: তোমাদের এ বিপদ এ কারণে যে, যখন এক আল্লাহকে ডাকা হত, তখন তোমরা কাফের হয়ে যেতে যখন তার সাথে শরীককে ডাকা হত তখন তোমরা বিশ্বাস স্থাপন করতে। এখন আদেশ তাই, যা আল্লাহ করবেন, যিনি সর্বোচ্চ, মহান।

هُوَ الَّذِیْ یُرِیْكُمْ اٰیٰتِهٖ وَ یُنَزِّلُ لَكُمْ مِّنَ السَّمَآءِ رِزْقًاؕ-وَ مَا یَتَذَكَّرُ اِلَّا مَنْ یُّنِیْبُ(13.)

উচ্চারণঃ হুওয়াল্লাযী ইউরীকুম! আ-য়া-তিহী ওয়া ইউনাঝঝিলুলাকুম! মিনাছ ছামাই রিঝকাওঁ ওয়ামা-ইয়াতাযাক্কারু ইল্লা-মাইঁ ইউনীব.।

অর্থ: তিনিই তোমাদেরকে তাঁর নিদর্শনাবলী দেখান এবং তোমাদের জন্যে আকাশ থেকে নাযিল করেন রুযী। চিন্তা-ভাবনা তারাই করে, যারা আল্লাহর দিকে রুজু থাকে।


فَادْعُوا اللّٰهَ مُخْلِصِیْنَ لَهُ-. الدِّیْنَ وَ لَوْ كَرِهَ الْكٰفِرُوْنَ.(14.)

উচ্চারণঃ ফাদ‘উল্লা-হা মুখলিসীনা লাহুদ্দীনা ওয়ালাও কারিহাল কা-ফিরূন।

অর্থ: অতএব!, তোমরা আল্লাহকে খাঁটি বীশ্বাস সহকারে ডাক,. যদিও কাফেররা. তা অপছন্দ করে।.


رَفِیْعُ الدَّرَجٰتِ ذُو الْعَرْشِۚ-یُلْقِی الرُّوْحَ مِنْ اَمْرِهٖ عَلٰى مَنْ یَّشَآءُ مِنْ عِبَادِهٖ لِیُنْذِرَ یَوْمَ التَّلَاقِۙ(15.)

উচ্চারণঃ রাফী’উদ্দাজা-তি যুল ‘আরশি ইউলকির রূহা মিন আমরিহী ‘আলা-মাইঁ ইয়াশাউ মিন ‘ইবা-দিহী লিইউনযিরা ইয়াওমাত্তালা-ক।

অর্থ: তিনিই সুউচ্চ মর্যাদার অধিকারী, আরশের মালিক, তাঁর বান্দাদের মধ্যে যার প্রতি ইচ্ছা তত্ত্বপূর্ণ বিষয়াদি নাযিল করেন, যাতে সে সাক্ষাতের দিন সম্পর্কে সকলকে সতর্ক করে।


یَوْمَ هُمْ بٰرِزُوْنَ ﳛ لَا یَخْفٰى عَلَى-. اللّٰهِ مِنْهُمْ شَیْءٌؕ-لِمَنِ الْمُلْكُ- الْیَوْمَؕ-. لِلّٰهِ الْوَاحِدِ الْقَهَّارِ.(16.)

উচ্চারণঃ ইয়াওমা হুম বা-রিঝূনা লা-ইয়াখফা-‘আলাল্লা-হি মিনহুম শাইউল লিমানিল মুলকুল ইয়াওমা লিল্লা-হিল ওয়া-হিদিল কাহহা-র।

অর্থ: যেদিন তারা বের হয়ে পড়বে, আল্লাহর কাছে তাদের কিছুই গোপন থাকবে না। আজ রাজত্ব কার? এক প্রবল পরাক্রান্ত আল্লাহর।


اَلْیَوْمَ تُجْزٰى كُلُّ نَفْسٍۭ بِمَا كَسَبَتْؕ لَا-. ظُلْمَ الْیَوْمَؕ-اِنَّ اللّٰهَ سَرِیْعُ الْحِسَابِ.(17.)

উচ্চারণঃ আল ইয়াওমা তুজঝা-কুল্লুনাফছিম বিমা-কাছাবাত লা- জু ল মাল ইয়াওমা ইন্নাল্লাহা ছারী‘উল হিছা-ব।

অর্থ: আজ প্রত্যেকেই তার কৃতকর্মের প্রতিদান পাবে। আজ যুলুম নেই। নিশ্চয় আল্লাহ দ্রুত হিসাব গ্রহণকারী।


وَ اَنْذِرْهُمْ یَوْمَ الْاٰزِفَةِ اِذِ الْقُلُوْبُ لَدَى الْحَنَاجِرِ كٰظِمِیْنَ۬ؕ-مَا لِلظّٰلِمِیْنَ مِنْ حَمِیْمٍ وَّ لَا شَفِیْعٍ یُّطَاعُؕ(18.)

উচ্চারণঃ ওয়া আনযিরহুম ইয়াওমাল আ-ঝিফাতি ইযিল কুলূবুলাদাল হানা-জিরি কা-জিমীনা মা-লিজ্জা-লিমীনা মিন হামীমিওঁ ওয়ালা-শাফী‘ইঁ ইউতা-‘।

অর্থ: আপনি তাদেরকে আসন্ন দিন সম্পর্কে সতর্ক করুন, যখন প্রাণ কন্ঠাগত হবে, দম বন্ধ হওয়ার উপক্রম হবে। পাপিষ্ঠদের জন্যে কোন বন্ধু নেই এবং সুপারিশকারীও নেই; যার সুপারিশ গ্রাহ্য হবে।


یَعْلَمُ خَآىٕنَةَ الْاَعْیُنِ وَ مَا تُخْفِی الصُّدُوْرُ(19.)

উচ্চারণঃ ইয়া‘লামুখাইনাতাল আ‘ইউনি ওয়ামা-তুখফিস সুদূর।

অর্থ: চোখের চুরি এবং অন্তরের গোপন বিষয় তিনি জানেন।


وَ اللّٰهُ یَقْضِیْ بِالْحَقِّؕ-وَ الَّذِیْنَ یَدْعُوْنَ مِنْ دُوْنِهٖ لَا یَقْضُوْنَ بِشَیْءٍؕ-اِنَّ اللّٰهَ هُوَ السَّمِیْعُ الْبَصِیْرُ۠(20.)

উচ্চারণঃ ওয়াল্লা-হু ইয়াকদী বিলহাক্কি ওয়াল্লাযীনা ইয়াদ‘ঊনা মিন দূ নিহী লা-ইয়াকদূ না বিশাইয়িন ইন্নাল্লা-হা হুওয়াছ ছামী‘উল বাসীর।

অর্থ: আল্লাহ ফয়সালা করেন সঠিকভাবে, আল্লাহর পরিবর্তে তারা যাদেরকে ডাকে, তারা কিছুই ফয়সালা করে না। নিশ্চয় আল্লাহ সবকিছু শুনেন, সবকিছু দেখেন।


اَوَ لَمْ یَسِیْرُوْا فِی-. الْاَرْضِ فَیَنْظُرُوْا كَیْفَ كَانَ عَاقِبَةُ الَّذِیْنَ كَانُوْا مِنْ-. قَبْلِهِمْؕ-كَانُوْا هُمْ اَشَدَّ مِنْهُمْ قُوَّةً وَّ-. اٰثَارًا فِی الْاَرْضِ فَاَخَذَهُمُ اللّٰهُ بِذُنُوْبِهِمْؕ -. وَ مَا كَانَ لَهُمْ مِّنَ اللّٰهِ مِنْ وَّاقٍ.(21.)

উচ্চারণঃ আওয়ালাম ইয়াছীরূফিল আরদিফাইয়ানজুরূকাইফা কা-না ‘আ-কিবাতুল্লাযীনা কা-নূমিন কাবলিহিম কা-নূহুম আশাদ্দা মিনহুম কুওওয়াতাঁওয়া আ-ছা-রান ফিল আরদি ফাআখাযাহুমুল্লা-হু বিযুনূবিহিম ওয়ামা-কা-না লাহুম মিনাল্লা-হি মিওঁ ওয়া-ক।

অর্থ: তারা কি দেশ-বিদেশ ভ্রমণ করে না!, যাতে দেখত তাদের পূর্বসুরিদের কি পরিণাম হয়েছে? তাদের শক্তি ও কীর্তি পৃথিবীতে এদের অপেক্ষা অধিকতর ছিল। অতঃপর আল্লাহ তাদেরকে তাদের গোনাহের কারণে ধৃত করেছিলেন এবং আল্লাহ থেকে তাদেরকে রক্ষাকারী কেউ হয়নি।


ذٰلِكَ بِاَنَّهُمْ كَانَتْ تَّاْتِیْهِمْ رُسُلُهُمْ -.بِالْبَیِّنٰتِ فَكَفَرُوْا فَاَخَذَهُمُ -.اللّٰهُؕ-اِنَّهٗ قَوِیٌّ شَدِیْدُ الْعِقَابِ.(.22.)

উচ্চারণঃ যা-লিকা বিআন্নাহুম কা-নাত্তা’তীহিম রুছুলুহুম বিলবাইয়িনা-তি ফাকাফারূফাআখাযাহুমুল্লা-হু ইন্নাহূকাবিওউন শাদীদুল ‘ইকা-ব।

অর্থ: এর কারণ এই যে, তাদের কাছে তাদের রসূলগণ সুস্পষ্ট নিদর্শনাবলী নিয়ে আগমন করত, অতঃপর তারা কাফের হয়ে যায়, তখন আল্লাহ তাদের ধৃত করেন। নিশ্চয় তিনি শক্তিধর, কঠোর শাস্তিদাতা।


وَ لَقَدْ اَرْسَلْنَا مُوْسٰى بِاٰیٰتِنَا وَ سُلْطٰنٍ مُّبِیْنٍۙ(23.)

উচ্চারণঃ ওয়ালাকাদ আরছালনা-মূছা-বিআ-য়া-তিনা-ওয়া ছুলতা-নিম মুবীন।

অর্থ: আমি আমার নিদর্শনাবলী ও স্পষ্ট! প্রমাণসহ মূসাকে প্রেরণ করেছি।,


اِلٰى فِرْعَوْنَ وَ هَامٰنَ وَ -. قَارُوْنَ فَقَالُوْا سٰحِرٌ كَذَّابٌ.(24.)
উচ্চারণঃ ইলা-ফির‘আওনা ওয়া হা-মা-না ওয়া কা-রূনা ফাকা-লূছা-হিরুন কাযযা-ব।

অর্থ: ফেরাউন, হামান ও কারুণের কাছে, অতঃপর তারা বলল, সে তো জাদুকর, মিথ্যাবাদী।


فَلَمَّا جَآءَهُمْ بِالْحَقِّ مِنْ عِنْدِنَا قَالُوا. اقْتُلُوْۤا اَبْنَآءَ الَّذِیْنَ اٰمَنُوْا مَعَهٗ وَ اسْتَحْیُوْا -. نِسَآءَهُمْؕ-وَ مَا كَیْدُ الْكٰفِرِیْنَ اِلَّا فِیْ ضَلٰلٍ.(25.)

উচ্চারণঃ ফালাম্মা-জাআ হুম বিলহাক্কিমিন ‘ইনদিনা-কা-লুকতুলূআবনাআল্লাযীনা আ-মানূ মা‘আহু ওয়াছতাহইঊ নিছাআহুম ওয়ামা-কাইদুল কা-ফিরীনা ইল্লা-ফী দালা-ল।

অর্থ: অতঃপর মূসা যখন! আমার কাছ থেকে সত্যসহ তাদের কাছে পৌঁছাল;. তখন তারা বলল!, যারা তার সঙ্গী হয়ে বিশ্বাস স্থাপন করেছে!, তাদের পুত্র সন্তানদেরকে হত্যা কর, আর তাদের নারীদেরকে জীবিত রাখ। কাফেরদের চক্রান্ত ব্যর্থই হয়েছে.।


وَ قَالَ فِرْعَوْنُ ذَرُوْنِیْۤ-. اَقْتُلْ مُوْسٰى وَ لْیَدْعُ رَبَّهٗۚ-اِنِّیْۤ- اَخَافُ اَنْ یُّبَدِّلَ دِیْنَكُمْ اَوْ -. اَنْ یُّظْهِرَ فِی الْاَرْضِ الْفَسَادَ.(26.)

উচ্চারণঃ ওয়া কা-লা ফির‘আওনুযারূনীআকতুল" মুছা-ওয়াল ইয়াদ‘উ রাব্বাহূ ইন্নীআখা-ফু! আইঁ ইউবাদ্দিলা দীনাকুম আও আইঁ ইউজহিরা. ফিল আরদিল ফাছা-দ।.

অর্থ: ফেরাউন বলল; তোমরা আমাকে ছাড়, মূসাকে হত্যা করতে দাও, ডাকুক সে তার পালনকর্তাকে! আমি আশংকা করি যে!, সে তোমাদের ধর্ম পরিবর্তন! করে দেবে অথবা সে দেশময়. বিপর্যয় সৃষ্টি করবে.।


وَ قَالَ مُوْسٰۤى اِنِّیْ عُذْتُ بِرَبِّیْ وَ رَبِّكُمْ مِّنْ-. كُلِّ مُتَكَبِّرٍ لَّا یُؤْمِنُ بِیَوْمِ الْحِسَابِ۠-.(27.)

উচ্চারণঃ ওয়া কা-লা রাজুলুম মু’মিনুম মিন আ-লি ফির‘আওনা ইয়াকতুমুঈমা-নাহূ আতাকতুলূনা রাজূলান আইঁ ইয়াকূলা রাব্বিয়াল্লা-হু ওয়া কাদ জাআকুম বিলবাইয়িনা-তি মির রাব্বিকুম ওয়া ইয়ঁইয়াকুকা-যিবান ফা‘আলাইহি কাযিবুহূওয়া ইয়ঁইয়াকুসাদিকাইঁ ইউসিবকুম বা‘দুল্লাযী ইয়া‘ইদুকুম ইন্নাল্লা-হা লা-ইয়াহদী মান হুওয়া মুছরিফুন কাযযাব।

অর্থ: মূসা বলল!, যারা হিসাব দিবসে বিশ্বাস করে না এমন প্রত্যেক অহংকারি থেকে আমি আমার ও তোমাদের! পালনকর্তার আশ্রয় নিয়ে নিয়েছি।,


وَ قَالَ رَجُلٌ مُّؤْمِنٌ ﳓ مِّنْ اٰلِ فِرْعَوْنَ یَكْتُمُ اِیْمَانَهٗۤ اَتَقْتُلُوْنَ رَجُلًا اَنْ یَّقُوْلَ رَبِّیَ اللّٰهُ وَ قَدْ جَآءَكُمْ بِالْبَیِّنٰتِ مِنْ رَّبِّكُمْؕ-وَ اِنْ یَّكُ كَاذِبًا فَعَلَیْهِ كَذِبُهٗۚ-وَ اِنْ یَّكُ صَادِقًا یُّصِبْكُمْ بَعْضُ الَّذِیْ یَعِدُكُمْؕ-اِنَّ اللّٰهَ لَا یَهْدِیْ مَنْ هُوَ مُسْرِفٌ كَذَّابٌ.-(28.)

উচ্চারণঃ ওয়া কা-লা মূছাইন্নী! ‘উযতুবিরাববী ওয়া রাব্বিকুম মিন. কুল্লি মুতাকাব্বিরিল লা-ইউ’মিনু বিইয়াওমিল হিছা-ব।

অর্থ: ফেরাউন গোত্রের এক মুমিন! ব্যক্তি, যে তার ঈমান গোপন রাখত!, সে বলল, তোমরা কি একজনকে এজন্যে হত্যা করবে যে!, সে বলে, আমার পালনকর্তা আল্লাহ,! অথচ সে তোমাদের পালনকর্তার নিকট থেকে স্পষ্ট প্রমাণসহ তোমাদের নিকট আগমন করেছে? যদি সে মিথ্যাবাদী হয়, তবে তার মিথ্যাবাদিতা তার উপরই চাপবে, আর যদি সে সত্যবাদী হয়, তবে সে যে শাস্তির কথা বলছে, তার কিছু না কিছু তোমাদের উপর পড়বেই। নিশ্চয় আল্লাহ সীমালংঘনকারী, মিথ্যাবাদীকে পথ প্রদর্শন করেন না।


یٰقَوْمِ لَكُمُ الْمُلْكُ الْیَوْمَ ظٰهِرِیْنَ فِی الْاَرْضِ٘-. فَمَنْ یَّنْصُرُنَا مِنْۢ بَاْسِ اللّٰهِ اِنْ جَآءَنَاؕ-قَالَ فِرْعَوْنُ مَاۤ -. اُرِیْكُمْ اِلَّا مَاۤ اَرٰى وَ مَاۤ -. اَهْدِیْكُمْ اِلَّا سَبِیْلَ الرَّشَادِ.(29.)

উচ্চারণঃ ইয়া-কাওমি লাকুমুল ইয়াওমা জা-হিরীনা ফিল আরদি ফামাইঁ ইয়ানসুরুনা-মিম বা’ছিল্লা-হি ইন জাআনা- কা-লা ফির‘আওনুমাউরীকুম ইল্লা-মাআরাওয়ামাআহদীকুম ইল্লা-ছাবীলার রাশা-দ।

অর্থ: হে আমার কওম, আজ এদেশে তোমাদেরই রাজত্ব!, দেশময় তোমরাই বিচরণ করছ; কিন্তু আমাদের আল্লাহর শাস্তি এসে গেলে কে আমাদেরকে সাহায্য করবে?!. ফেরাউন বলল, আমি যা বুঝি!, তোমাদেরকে তাই বোঝাই!, আর আমি তোমাদেরকে মঙ্গলের পথই দেখাই.।


وَ قَالَ الَّذِیْۤ اٰمَنَ یٰقَوْمِ اِنِّیْۤ اَخَافُ عَلَیْكُمْ مِّثْلَ یَوْمِ الْاَحْزَابِۙ(30.)

উচ্চারণঃ ওয়াকালাল্লাযী আ-মানা ইয়াকাওমি ইন্নীআখা-ফু‘আলাইকুম মিছলা ইয়াওমিল আহঝা-ব।

৩০. সে মুমিন ব্যক্তি বললঃ হে আমার কওম, আমি তোমাদের জন্যে পূর্ববর্তী সম্প্রদায়সমূহের মতই বিপদসঙ্কুল দিনের আশংকা করি।


مِثْلَ دَاْبِ قَوْمِ نُوْحٍ وَّ-. عَادٍ وَّ ثَمُوْدَ وَ الَّذِیْنَ مِنْۢ بَعْدِهِمْؕ-وَ مَا-. اللّٰهُ یُرِیْدُ ظُلْمًا لِّلْعِبَادِ.(31.)

উচ্চারণঃ মিছলা দা’বি কাওমি নূহিওঁ ওয়া ‘আ-দিওঁ ওয়া ছামূদা ওয়াল্লাযীনা মিম বা‘দিহিম ওয়া মাল্লা-হু ইউরীদুজুলমাল লিল‘ইবা-দ।

অর্থ: যেমন, কওমে নূহ, আদ, সামুদ ও তাদের পরবর্তীদের অবস্থা হয়েছিল। আল্লাহ বান্দাদের প্রতি কোন যুলুম করার ইচ্ছা করেন না।


وَ یٰقَوْمِ اِنِّیْۤ اَخَافُ عَلَیْكُمْ یَوْمَ التَّنَادِۙ(32.)

উচ্চারণঃ ওয়া ইয়া-কাওমি ইন্নীআখা-ফু‘আলাইকুম ইয়াওমাততানা-দ।

অর্থ: হে আমার কওম!, আমি তোমাদের জন্যে প্রচন্ড হাঁক-ডাকের দিনের! আশংকা করি।


یَوْمَ تُوَلُّوْنَ مُدْبِرِیْنَۚ-مَا لَكُمْ مِّنَ اللّٰهِ مِنْ -عَاصِمٍۚ-وَ مَنْ یُّضْلِلِ -. اللّٰهُ فَمَا لَهٗ مِنْ هَادٍ.(33.)

উচ্চারণঃ ইয়াওমা তুওয়াললূনা মুদবিরীনা মা-লাকুম মিনাল্লা-হি মিন ‘আ-সিমিওঁ ওয়া মাইঁ ইউদলিলিল্লা -হু ফামা-লাহূমিন হা-দ।

অর্থ: যেদিন তোমরা পেছনে ফিরে পলায়ন করবে; কিন্তু আল্লাহ থেকে তোমাদেরকে রক্ষাকারী কেউ থাকবে না। আল্লাহ যাকে পথভ্রষ্ট করেন, তার কোন পথপ্রদর্শক নেই।


وَ لَقَدْ جَآءَكُمْ یُوْسُفُ مِنْ قَبْلُ بِالْبَیِّنٰتِ فَمَا زِلْتُمْ فِیْ شَكٍّ مِّمَّا جَآءَكُمْ بِهٖؕ-حَتّٰۤى اِذَا هَلَكَ قُلْتُمْ لَنْ یَّبْعَثَ اللّٰهُ مِنْۢ بَعْدِهٖ رَسُوْلًاؕ-كَذٰلِكَ یُضِلُّ اللّٰهُ مَنْ هُوَ مُسْرِفٌ مُّرْتَابُۚۖﰳ(34.)

উচ্চারণঃ ওয়ালা কাদ জাআকুম ইঊছুফুমিন কাবলুবিলবাইয়িনা-তি ফামা-ঝিলতুম ফী শাক্কিম মিম্মাজাআকুম বিহী হাত্তাইযা-হালাকা কুলতুম লাইঁ ইয়াব‘আছাল্লা-হু মিম বা‘দিহী রাছূলান কাযা-লিকা ইউদিল্লুল্লা-হু মান হুওয়া মুছরিফুম মুরতা-ব।

অর্থ: ইতিপূর্বে তোমাদের কাছে ইউসুফ সুস্পষ্ট প্রামাণাদিসহ আগমন করেছিল, অতঃপর তোমরা তার আনীত বিষয়ে সন্দেহই পোষণ করতে। অবশেষে যখন সে মারা গেল, তখন তোমরা বলতে শুরু করলে, আল্লাহ ইউসুফের পরে আর কাউকে রসূলরূপে পাঠাবেন না। এমনিভাবে আল্লাহ সীমালংঘনকারী, সংশয়ী ব্যক্তিকে পথভ্রষ্ট করেন।


الَّذِیْنَ یُجَادِلُوْنَ فِیْۤ -. اٰیٰتِ اللّٰهِ بِغَیْرِ سُلْطٰنٍ اَتٰىهُمْؕ-كَبُرَ مَقْتًا عِنْدَ اللّٰهِ-. وَ عِنْدَ الَّذِیْنَ اٰمَنُوْاؕ-كَذٰلِكَ یَطْبَعُ- اللّٰهُ عَلٰى كُلِّ قَلْبِ مُتَكَبِّرٍ جَبَّارٍ.(35.)

উচ্চারণঃ আল্লাযীনা ইউজা-দিলূনা ফীআ-য়া-তিল্লা-হি বিগাইরি ছুলতা-নিন আতা-হুম কাবুরা মাকতান ‘ইনদাল্লা-হি ওয়া ‘ইনদাল্লাযীনা আ-মানূ কাযা-লিকা ইয়াতবা‘উল্লা-হু ‘আলা-কুল্লি কালবি মুতাকাব্বিরিন জাব্বা-র।

অর্থ: যারা নিজেদের কাছে আগত কোন দলীল ছাড়াই আল্লাহর আয়াত সম্পর্কে বিতর্ক করে, তাদের একজন আল্লাহ ও মুমিনদের কাছে খুবই অসন্তোষজনক। এমনিভাবে আল্লাহ প্রত্যেক অহংকারী-স্বৈরাচারী ব্যক্তির অন্তরে মোহর এঁটে দেন।


وَ قَالَ فِرْعَوْنُ یٰهَامٰنُ ابْنِ لِیْ صَرْحًا لَّعَلِّیْۤ اَبْلُغُ الْاَسْبَابَۙ(36.)

উচ্চারণঃ ওয়া কা-লা ফির‘আওনুইয়া-হা-মা-নুবনি লী সারহাল্লা‘আললীআবলুগুল আছবা-ব।

অর্থ: ফেরাউন বলল, হে হামান, তুমি আমার জন্যে একটি সুউচ্চ প্রাসাদ নির্মাণ কর, হয়তো আমি পৌঁছে যেতে পারব।


اَسْبَابَ السَّمٰوٰتِ فَاَطَّلِعَ اِلٰۤى اِلٰهِ مُوْسٰى وَ اِنِّیْ لَاَظُنُّهٗ كَاذِبًاؕ-وَ كَذٰلِكَ زُیِّنَ لِفِرْعَوْنَ سُوْٓءُ عَمَلِهٖ وَ صُدَّ عَنِ السَّبِیْلِؕ-وَ مَا كَیْدُ فِرْعَوْنَ اِلَّا فِیْ تَبَابٍ۠(37.)

উচ্চারণঃ আছবা-বাছছামা-ওয়া-তি ফাআত্তালি‘আ ইলাইলা-হি মূছা-ওয়া ইন্নী লাআজুন্নুহূকাযিবাওঁ ওয়া কাযা-লিকা ঝুইয়িনা লিফির‘আওনা ছূউ ‘আমালিহী ওয়াসুদ্দা ‘আনিছছাবীলি ওয়ামা-কাইদুফির‘আওনা ইল্লা-ফী তাবা-ব।

অর্থ: আকাশের পথে, অতঃপর উঁকি মেরে দেখব মূসার আল্লাহকে। বস্তুতঃ আমি তো তাকে মিথ্যাবাদীই মনে করি। এভাবেই ফেরাউনের কাছে সুশোভিত করা হয়েছিল তার মন্দ কর্মকে এবং সোজা পথ থেকে তাকে বিরত রাখা হয়েছিল। ফেরাউনের চক্রান্ত ব্যর্থ হওয়ারই ছিল।


وَ قَالَ الَّذِیْۤ اٰمَنَ یٰقَوْمِ اتَّبِعُوْنِ اَهْدِكُمْ سَبِیْلَ الرَّشَادِۚ(38.)

উচ্চারণঃ ওয়াকালাল্লাযীআ-মানা ইয়া-কাওমিততাবি‘ঊনি আহদিকুম ছাবীলার রাশা-দ।

অর্থ: মুমিন লোকটি বললঃ হে আমার কওম, তোমরা আমার অনুসরণ কর। আমি তোমাদেরকে সৎপথ প্রদর্শন করব।


یٰقَوْمِ اِنَّمَا هٰذِهِ الْحَیٰوةُ-. الدُّنْیَا مَتَاعٌ٘-وَّ اِنَّ الْاٰخِرَةَ هِیَ دَارُ الْقَرَارِ.(39.)

উচ্চারণঃ ইয়া-কাওমি ইন্নামা-হা-যিহিল হায়া-তুদ দুনইয়া-মাতা-‘উওঁ ওয়া ইন্নাল আ-খিরাতা হিয়া দা-রুল কারা-র।

অর্থ: হে আমার কওম!, পার্থিব এ জীবন তো কেবল উপভোগের বস্তু!, আর পরকাল হচ্ছে স্থায়ী বসবাসের গৃহ।.


مَنْ عَمِلَ سَیِّئَةً فَلَا یُجْزٰۤى اِلَّا مِثْلَهَاۚ-وَ مَنْ- عَمِلَ صَالِحًا مِّنْ ذَكَرٍ اَوْ اُنْثٰى وَ هُوَ مُؤْمِنٌ فَاُولٰٓىٕكَ-. یَدْخُلُوْنَ الْجَنَّةَ یُرْزَقُوْنَ فِیْهَا بِغَیْرِ حِسَابٍ.(40.)

উচ্চারণঃ মান ‘আমিলা ছাইয়িআতান ফালা-ইউজঝাইল্লা-মিছলাহা- ওয়ামান ‘আমিলা সালিহাম মিন যাকারিন আও উনছা-ওয়া হুওয়া মু’মিনুন ফাউলাইকা ইয়াদখুলূনাল জান্নাতা ইউরঝাকূনা ফীহা-বিগাইরি হিছা-ব।

অর্থ: যে মন্দ কর্ম করে, সে কেবল তার অনুরূপ প্রতিফল পাবে, আর যে, পুরুষ অথবা নারী মুমিন অবস্থায় সৎকর্ম করে তারাই জান্নাতে প্রবেশ করবে। তথায় তাদেরকে বে-হিসাব রিযিক দেয়া হবে।


وَ یٰقَوْمِ مَا لِیْۤ اَدْعُوْكُمْ اِلَى النَّجٰوةِ وَ تَدْعُوْنَنِیْۤ اِلَى النَّارِؕ(41.)

উচ্চারণঃ ওয়া ইয়া-কাওমি মা-লীআদ‘ঊকুম ইলান নাজা-তি ওয়া তাদ‘ঊনানীইলান্না-র।

অর্থ: হে আমার কওম, ব্যাপার কি, আমি তোমাদেরকে দাওয়াত দেই মুক্তির দিকে, আর তোমরা আমাকে দাওয়াত দাও জাহান্নামের দিকে।


تَدْعُوْنَنِیْ لِاَكْفُرَ بِاللّٰهِ وَ اُشْرِكَ بِهٖ مَا لَیْسَ-. لِیْ بِهٖ عِلْمٌ٘-وَّ اَنَا اَدْعُوْكُمْ اِلَى الْعَزِیْزِ الْغَفَّارِ.(42.)

উচ্চারণঃ তাদ‘ঊনানী লিআকফুরা বিল্লা-হি ওয়া উশরিকা বিহী মা-লাইছা লী বিহী ‘ইলমুওঁ ওয়াআনা আদ‘ঊকুম ইলাল ‘আঝীঝিল গাফফা-র।

অর্থ: তোমরা আমাকে দাওয়াত দাও, যাতে আমি আল্লাহকে অস্বীকার করি এবং তাঁর সাথে শরীক করি এমন বস্তুকে, যার কোন প্রমাণ আমার কাছে নেই। আমি তোমাদেরকে দাওয়াত দেই পরাক্রমশালী, ক্ষমাশীল আল্লাহর দিকে।


لَا جَرَمَ اَنَّمَا تَدْعُوْنَنِیْۤ اِلَیْهِ لَیْسَ لَهٗ دَعْوَةٌ فِی الدُّنْیَا وَ لَا فِی -.الْاٰخِرَةِ وَ اَنَّ مَرَدَّنَاۤ اِلَى اللّٰهِ وَ اَنَّ-. الْمُسْرِفِیْنَ هُمْ اَصْحٰبُ النَّارِ.(43.)

উচ্চারণঃ লা-জারামা আন্নামা-তাদ‘ঊনানীইলাইহি লাইছা লাহূদা‘ওয়াতুনফিদ্দুনইয়া-ওয়ালা-ফিল আ-খিরাতি ওয়া আন্না মারাদ্দানাইলাল্লা-হি ওয়া আন্নাল মুসরিফীনা হুম আসহা-বুন্না-র।

অর্থ: এতে সন্দেহ নেই যে!, তোমরা আমাকে যার দিকে দাওয়াত দাও!, হইকালে ও পরকালে তার কোন দাওয়াত নেই!. আমাদের প্রত্যাবর্তন আল্লাহর দিকে এবং সিমা লংঘকারীরাই জাহান্নামী।


فَسَتَذْكُرُوْنَ مَاۤ اَقُوْلُ لَكُمْؕ-وَ اُفَوِّضُ-. اَمْرِیْۤ اِلَى اللّٰهِؕ-اِنَّ اللّٰهَ بَصِیْرٌۢ بِالْعِبَادِ.(44.)

উচ্চারণঃ ফাছাতাযকুরূনা মাআকূলুলাকুম ওয়া উফাওবিদুআমরীইলাল্লা-হি ইন্নাল্লাহা বাসীরুম বিল‘ইবা-দ।

অর্থ: আমি তোমাদেরকে যা বলছি, তোমরা একদিন তা স্মরণ করবে। আমি আমার ব্যাপার আল্লাহর কাছে সমর্পণ করছি। নিশ্চয় বান্দারা আল্লাহর দৃষ্টিতে রয়েছে।


فَوَقٰىهُ اللّٰهُ سَیِّاٰتِ مَا مَكَرُوْا وَ حَاقَ بِاٰلِ فِرْعَوْنَ سُوْٓءُ الْعَذَابِۚ(45.)

উচ্চারণঃ ফাওয়াকা-হুল্লা-হুছাইয়িআ-তি মা-মাকারূওয়া হা-কাবিআ-লি ফির‘আওনা ছূ উল ‘আযা-ব।

অর্থ: অতঃপর আল্লাহ তাকে তাদের চক্রান্তের অনিষ্ট থেকে রক্ষা করলেন এবং ফেরাউন গোত্রকে শোচনীয় আযাব গ্রাস করল।


اَلنَّارُ یُعْرَضُوْنَ عَلَیْهَا غُدُوًّا وَّ عَشِیًّاۚ-وَ یَوْمَ تَقُوْمُ السَّاعَةُ- اَدْخِلُوْۤا اٰلَ فِرْعَوْنَ اَشَدَّ الْعَذَابِ(46.)

উচ্চারণঃ আন্না-রু ইউ‘রাদূ না ‘আলাইহা-গুদুওওয়াওঁ ওয়া ‘আশিইইয়াওঁ ওয়া ইয়াওমা তাকূমুছ ছা‘আতু আদখিলূআ-লা ফির‘আওনা আশাদ্দাল ‘আযা-ব।

অর্থ: সকালে ও সন্ধ্যায় তাদেরকে! আগুনের সামনে পেশ করা হয়! এবং যেদিন কেয়ামত সংঘটিত হবে!, সেদিন আদেশ করা হবে, ফেরাউন গোত্রকে.. কঠিনতর আযাবে দাখিল কর।.


وَ اِذْ یَتَحَآجُّوْنَ فِی النَّارِ فَیَقُوْلُ الضُّعَفٰٓؤُا- لِلَّذِیْنَ اسْتَكْبَرُوْۤا اِنَّا كُنَّا لَكُمْ تَبَعًا فَهَلْ-. اَنْتُمْ مُّغْنُوْنَ عَنَّا نَصِیْبًا مِّنَ النَّارِ.(47.)

উচ্চারণঃ ওয়া ইযইয়াতাহাজ্জূনা ফিন্না-রি ফাইয়াকূলুদদু ‘আফাউ লিল্লাযীনাছতাকবারূইন্নাকুন্না-লাকুম তাবা‘আন ফাহাল আনতুম মুগনূনা ‘আন্না-নাসীবাম মিনান্না-র।

অর্থ: যখন তারা জাহান্নামে পরস্পর বিতর্ক করবে, অতঃপর দূর্বলরা অহংকারীদেরকে বলবে, আমরা তোমাদের অনুসারী ছিলাম। তোমরা এখন জাহান্নামের আগুনের কিছু অংশ আমাদের থেকে নিবৃত করবে কি?


قَالَ الَّذِیْنَ اسْتَكْبَرُوْۤا اِنَّا كُلٌّ- فِیْهَاۤۙ-اِنَّ اللّٰهَ قَدْ حَكَمَ بَیْنَ الْعِبَادِ-.(48.)

উচ্চারণঃ কা-লাল্লাযী নাছতাকরারূইন্না-কুল্লুন ফীহা ইন্নাল্লা-হা কাদ হাকামা বাইনাল ‘ইবা-দ।

অর্থ: অহংকারীরা বলবে, আমরা সবাই তো জাহান্নামে আছি। আল্লাহ তাঁর বান্দাদের ফয়সালা করে দিয়েছেন।


وَ قَالَ الَّذِیْنَ فِی النَّارِ لِخَزَنَةِ جَهَنَّمَ ادْعُوْا رَبَّكُمْ یُخَفِّفْ عَنَّا یَوْمًا مِّنَ الْعَذَابِ(49.)

উচ্চারণঃ ওয়া কা-লাল্লাযীনা ফিন্না-রি লিখাঝানাতি জাহান্নামাদ‘ঊ রাব্বাকুম ইউখাফফিফ ‘আন্নাইয়াওমাম মিনাল ‘আযা-ব।

অর্থ: যারা জাহান্নামে আছে, তারা জাহান্নামের রক্ষীদেরকে বলবে, তোমরা তোমাদের পালনকর্তাকে বল, তিনি যেন আমাদের থেকে একদিনের আযাব লাঘব করে দেন।


قَالُوْۤا اَوَ لَمْ تَكُ تَاْتِیْكُمْ رُسُلُكُمْ بِالْبَیِّنٰتِؕ-قَالُوْا بَلٰىؕ-قَالُوْا فَادْعُوْاۚ-وَ مَا دُعٰٓؤُا الْكٰفِرِیْنَ اِلَّا فِیْ ضَلٰلٍ۠(50.)

উচ্চারণঃ কা-লূআওয়ালাম তাকুতা’তীকুম রুছুলুকুম বিলবাইয়িনা-তি কা-লূবালা- কালূফাদ‘ঊ ওয়ামা-দু‘আউল কা-ফিরীনা ইল্লা-ফী দালা-ল।

অর্থ: রক্ষীরা বলবে, তোমাদের কাছে কি সুস্পষ্ট প্রমাণাদিসহ তোমাদের রসূল আসেননি? তারা বলবে হ্যাঁ। রক্ষীরা বলবে, তবে তোমরাই দোয়া কর। বস্তুতঃ কাফেরদের দোয়া নিস্ফলই হয়।


اِنَّا لَنَنْصُرُ رُسُلَنَا وَ الَّذِیْنَ اٰمَنُوْا فِی الْحَیٰوةِ الدُّنْیَا وَ یَوْمَ یَقُوْمُ الْاَشْهَادُۙ(51.)

উচ্চারণঃ ইন্না- লানানসুরু রুছুলানা- ওয়াল্লাযীনা আ-মানূফিল হায়া-তিদ্দুনইয়া-ওয়া ইয়াওমা ইয়াকূ মুল আশহা-দ ।

অর্থ: আমি সাহায্য করব! রসূলগণকে ও মুমিনগণকে পার্থিব জীবনে! ও সাক্ষীদের দন্ডায়মান হওয়ার দিবসে।.


یَوْمَ لَا یَنْفَعُ الظّٰلِمِیْنَ مَعْذِرَتُهُمْ وَ -. لَهُمُ اللَّعْنَةُ وَ لَهُمْ سُوْٓءُ الدَّارِ.(52.)

উচ্চারণঃ ইয়াওমা লা-ইয়ানফা‘উজ্জা-লিমীনা মা‘যিরাতুহুম ওয়ালাহুমুল লা‘নাতুওয়ালাহুম ছূ উদ্দা র।

অর্থ: সে দিন যালেমদের. ওযর-আপত্তি কোন উপকারে আসবে না!, তাদের জন্যে থাকবে অভিশাপ এবং তাদের! জন্যে থাকবে মন্দ গৃহ।


وَ لَقَدْ اٰتَیْنَا مُوْسَى الْهُدٰى وَ اَوْرَثْنَا بَنِیْۤ اِسْرَآءِیْلَ الْكِتٰبَۙ.(53.)

উচ্চারণঃ ওয়া লাকাদ আ-তাইনা-মূছাল হুদা-ওয়া আওরাছনা-বানীইছরাঈলাল কিতা-ব।

অর্থ: নিশ্চয় আমি মূসাকে! হেদায়েত দান করেছিলাম এবং বনী ইসরাঈলকে কিতাবের উত্তরাধিকারি করেছিলাম.।


هُدًى وَّ ذِكْرٰى لِاُولِی الْاَلْبَابِ(54.)

উচ্চারণঃ হুদাওঁ ওয়া যিকরা-লিউলিল আলবা-ব।

অর্থ: বুদ্ধিমানদের জন্যে উপদেশ ও হেদায়েত স্বরূপ।


فَاصْبِرْ اِنَّ وَعْدَ اللّٰهِ حَقٌّ وَّ اسْتَغْفِرْ لِذَنْۢبِكَ-. وَ سَبِّحْ بِحَمْدِ رَبِّكَ بِالْعَشِیِّ وَ الْاِبْكَارِ.(55.)

উচ্চারণঃ ফাসবির ইন্না ওয়া‘দাল্লা-হি হাক্কুওঁ ওয়াছতাগফির লিযামবিকা ওয়া ছাব্বিহ বিহামদি রাব্বিকা বিল‘আশিইয়ি ওয়াল ইবকা-র।

অর্থ: অতএব, আপনি সবর করুন নিশ্চয় আল্লাহর ওয়াদা সত্য। আপনি আপনার গোনাহের জন্যে ক্ষমা প্রর্থনা করুন এবং সকাল-সন্ধ্যায় আপনার পালনকর্তার প্রশংসাসহ পবিত্রতা বর্ণনা করুন।


اِنَّ الَّذِیْنَ یُجَادِلُوْنَ فِیْۤ اٰیٰتِ اللّٰهِ بِغَیْرِ سُلْطٰنٍ اَتٰىهُمْۙ-.اِنْ فِیْ صُدُوْرِهِمْ. -اِلَّا كِبْرٌ مَّا هُمْ بِبَالِغِیْهِۚ-فَاسْتَعِذْ بِاللّٰهِؕ-.اِنَّهٗ هُوَ السَّمِیْعُ الْبَصِیْرُ.(56.)

উচ্চারণঃ ইন্নাল্লাযীনা ইউজা-দিলূনা ফীআ-য়া-তিল্লা-হি বিগাইরি ছুলতা-নিন আতা-হুম ইন ফী সূদূ রিহিম ইল্লা-কিবরুম মা-হুম ব্বিা-লিগীহি ফাছতা‘ইযবিল্লা-হি ইন্নাহূহুওয়াছ ছামী‘উল বাসীর।

অর্থ: নিশ্চয় যারা আল্লাহর আয়াত সম্পর্কে বিতর্ক করে তাদের কাছে আগত কোন দলীল ব্যতিরেকে, তাদের অন্তরে আছে কেবল আত্নম্ভরিতা, যা অর্জনে তারা সফল হবে না। অতএব, আপনি আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা করুন। নিশ্চয় তিনি সবকিছু শুনেন, সবকিছু দেখেন।


لَخَلْقُ السَّمٰوٰتِ وَ الْاَرْضِ اَكْبَرُ مِنْ -.خَلْقِ النَّاسِ وَ لٰكِنَّ اَكْثَرَ النَّاسِ لَا یَعْلَمُوْنَ.-(57.)

উচ্চারণঃ লাখালকুছ ছামা-ওয়া-তি! ওয়াল আরদি আকবারু মিন খালকিন্না-ছি! ওয়ালা-কিন্না আকছারান্না-ছি লা-ইয়া‘লামূন.।

অর্থ: মানুষের সৃষ্টি অপেক্ষা নভোমন্ডল ও ভূ-মন্ডলের সৃষ্টি কঠিনতর। কিন্তু অধিকাংশ মানুষ বোঝে না।


وَ مَا یَسْتَوِی الْاَعْمٰى وَ الْبَصِیْرُ ﳔ وَ الَّذِیْنَ اٰمَنُوْا وَ عَمِلُوا الصّٰلِحٰتِ وَ لَا الْمُسِیْٓءُؕ-قَلِیْلًا مَّا تَتَذَكَّرُوْنَ(58.)

উচ্চারণঃ ওয়ামা-ইয়াছতাবিল আ‘মা-ওয়াল বাসীরু ওয়াল্লাযীনা আ-মানূওয়া ‘আমিলুসসালিহা-তি ওয়ালাল মুছীউ কালীলাম মা-তাতাযাক্কারূন।

অর্থ: অন্ধ ও চক্ষুষ্মান সমান নয়, আর যারা বিশ্বাস স্থাপন করে ও সৎকর্ম করে এবং কুকর্মী। তোমরা অল্পই অনুধাবন করে থাক।


اِنَّ السَّاعَةَ لَاٰتِیَةٌ لَّا رَیْبَ فِیْهَا-. وَ لٰكِنَّ اَكْثَرَ النَّاسِ لَا یُؤْمِنُوْنَ-(59.)

উচ্চারণঃ. ইন্নাছ ছা-‘আতা!লা- আ-তিয়াতুল! লা-রাইবা ফীহা-,ওয়ালা-কিন্না! আকছারান্না-ছি লাইউ’মিনূন।.

অর্থ: কেয়ামত অবশ্যই আসবে, এতে সন্দেহ নেই; কিন্ত অধিকাংশ লোক বিশ্বাস স্থাপন করে না।


وَ قَالَ رَبُّكُمُ ادْعُوْنِیْۤ اَسْتَجِبْ لَكُمْؕ-اِنَّ الَّذِیْنَ یَسْتَكْبِرُوْنَ عَنْ-. عِبَادَتِیْ سَیَدْخُلُوْنَ جَهَنَّمَ دٰخِرِیْنَ۠-(60.)

উচ্চারণঃ ওয়া কা-লা রাব্বুকুমুদ ‘ঊনীআছতাজিব লাকুম ইন্নাল্লাযীনা ইয়াছতাকবিরূনা ‘আন ‘ইবা-দাতী ছাইয়াদখুলূনা জাহান্নামা দা-খিরীন।

অর্থ: তোমাদের পালনকর্তা বলেন, তোমরা আমাকে ডাক, আমি সাড়া দেব। যারা আমার এবাদতে অহংকার করে তারা সত্বরই জাহান্নামে দাখিল হবে লাঞ্ছিত হয়ে।


اَللّٰهُ الَّذِیْ جَعَلَ لَكُمُ الَّیْلَ لِتَسْكُنُوْا فِیْهِ وَ النَّهَارَ مُبْصِرًاؕ-اِنَّ اللّٰهَ لَذُوْ فَضْلٍ عَلَى النَّاسِ وَ لٰكِنَّ اَكْثَرَ النَّاسِ لَا یَشْكُرُوْنَ(61.)

উচ্চারণঃ আল্লা-হুল্লাযী জা‘আলা লাকুমুল্লাইলা লিতাছকুনূফীহি ওয়ান্নাহা-রা মুবসিরান- ইন্নাল্লা-হা লাযূফাদলিন ‘আলান্না-ছি ওয়ালা-কিন্না আকছারান্না-ছি লা-ইয়াশকুরূন।

অর্থ: তিনিই আল্লাহ যিনি রাত্র সৃষ্টি করেছেন তোমাদের বিশ্রামের জন্যে এবং দিবসকে করেছেন দেখার জন্যে। নিশ্চয় আল্লাহ মানুষের প্রতি অনুগ্রহশীল, কিন্তু অধিকাংশ মানুষ কৃতজ্ঞতা স্বীকার করে না।


ذٰلِكُمُ اللّٰهُ رَبُّكُمْ خَالِقُ كُلِّ -شَیْءٍۘ-لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا هُوَۚ-٘ فَاَنّٰى تُؤْفَكُوْنَ-(62.)

উচ্চারণঃ যা-লিকুমুল্লা-হু রাব্বুকুম খা-লিকুকুল্লি শাইয় । লাইলা-হা ইল্লা-হুওয়া ফাআন্নাতু’ফাকূন।

অর্থ: তিনি আল্লাহ, তোমাদের পালনকর্তা, সব কিছুর স্রষ্টা। তিনি ব্যতীত কোন উপাস্য নেই। অতএব তোমরা কোথায় বিভ্রান্ত হচ্ছ?


كَذٰلِكَ یُؤْفَكُ الَّذِیْنَ-. كَانُوْا بِاٰیٰتِ اللّٰهِ یَجْحَدُوْنَ-(63.)

উচ্চারণঃ কাযা-লিকা ইউ’ফাকুল্লাযীনা কা-নূবিআ-য়া-তিল্লা-হি ইয়াজহাদূন।

অর্থ: এমনিভাবে তাদেরকে বিভ্রান্ত করা হয়, যারা আল্লাহর আয়াতসমূহকে অস্বীকার করে।


اَللّٰهُ الَّذِیْ جَعَلَ لَكُمُ الْاَرْضَ- قَرَارًا وَّ السَّمَآءَ بِنَآءً وَّ صَوَّرَكُمْ فَاَحْسَنَ صُوَرَكُمْ وَ رَزَقَكُمْ مِّنَ الطَّیِّبٰتِؕ-. ذٰلِكُمُ اللّٰهُ رَبُّكُمْ ۚۖ-فَتَبٰرَكَ اللّٰهُ رَبُّ الْعٰلَمِیْنَ.(64.)

উচ্চারণঃ আল্লা-হুল্লাযী জা‘আলা লাকুমুল আরদা কারা-রাওঁ ওয়াছ ছামাআ বিনাআওঁ ওয়া সাওওয়ারাকুম ফাআহছানা ছুওয়ারাকুম ওয়া রাঝাকাকুম মিনাত্তাইয়িবা-তি যালিকুমুল্লা-হু রাব্বাকুম ফাতাবা-রাকাল্লা-হু রাব্বুল ‘আ-লামীন।

অর্থ: আল্লাহ, পৃথিবীকে করেছেন তোমাদের জন্যে বাসস্থান, আকাশকে করেছেন ছাদ এবং তিনি তোমাদেরকে আকৃতি দান করেছেন, অতঃপর তোমাদের আকৃতি সুন্দর করেছেন এবং তিনি তোমাদেরকে দান করেছেন পরিচ্ছন্ন রিযিক। তিনি আল্লাহ, তোমাদের পালনকর্তা। বিশ্বজগতের পালনকর্তা, আল্লাহ বরকতময়।


هُوَ الْحَیُّ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا هُوَ-. فَادْعُوْهُ مُخْلِصِیْنَ لَهُ الدِّیْنَؕ-اَلْحَمْدُ لِلّٰهِ رَبِّ الْعٰلَمِیْنَ-(65.)

উচ্চারণঃ হুওয়াল হাইয়ুলাইলা-হা ইল্লা-হুওয়া ফাদ‘ঊহু মুখলিসীনা লাহুদ্দীনা আলহামদু লিল্লা হি রাব্বিল ‘আ-লামীন।

অর্থ: তিনি চিরঞ্জীব, তিনি ব্যতীত কোন উপাস্য নেই। অতএব, তাঁকে ডাক তাঁর খাঁটি এবাদতের মাধ্যমে। সমস্ত প্রশংসা বিশ্বজগতের পালনকর্তা আল্লাহর।


قُلْ اِنِّیْ نُهِیْتُ اَنْ اَعْبُدَ-. الَّذِیْنَ تَدْعُوْنَ مِنْ دُوْنِ اللّٰهِ لَمَّا جَآءَنِیَ الْبَیِّنٰتُ مِنْ رَّبِّیْ٘.-وَ اُمِرْتُ اَنْ اُسْلِمَ لِرَبِّ الْعٰلَمِیْنَ.(66.)

উচ্চারণঃ কুল ইন্নী নুহীতুআন আ‘বুদাল্লাযীনা তাদ‘ঊনা মিন দূ নিল্লা-হি লাম্মা-জাআনিয়াল বাইয়িনা-তুমিররাববী ওয়া উমিরতুআন উছলিমা লিরাব্বিল ‘আ-লামীন।

অর্থ: বলুন, যখন আমার কাছে আমার পালনকর্তার পক্ষ থেকে স্পষ্ট প্রমাণাদি এসে গেছে, তখন আল্লাহ ব্যতীত তোমরা যার পূজা কর, তার এবাদত করতে আমাকে নিষেধ করা হয়েছে। আমাকে আদেশ করা হয়েছে বিশ্ব পালনকর্তার অনুগত থাকতে।


هُوَ الَّذِیْ خَلَقَكُمْ مِّنْ تُرَابٍ -.ثُمَّ مِنْ نُّطْفَةٍ ثُمَّ مِنْ عَلَقَةٍ ثُمَّ یُخْرِجُكُمْ طِفْلًا ثُمَّ لِتَبْلُغُوْۤا اَشُدَّكُمْ ثُمَّ لِتَكُوْنُوْا شُیُوْخًاۚ-وَ مِنْكُمْ مَّنْ یُّتَوَفّٰى مِنْ قَبْلُ وَ لِتَبْلُغُوْۤا اَجَلًا مُّسَمًّى وَّ لَعَلَّكُمْ تَعْقِلُوْنَ(67.)

উচ্চারণঃ হুওয়াল্লাযীখালাকাকুম মিন তুরা-বিন ছুম্মা মিন নুতফাতিন ছুম্মা মিন‘আলাকাতিন ছুম্মা ইউখরিজুকুম তিফলান ছুম্মা লিতাবলুগূআশুদ্দাকুম ছু ম্মা লিতাকূনূশুয়ূখাও ওয়া মিনকুম মাইঁ ইউতাওয়াফফা-মিন কাবলুওয়া লিতাবলুগূআজালাম মুছাম্মাওঁ ওয়া লা‘আল্লাকুম তা‘কিলূন।

অর্থ: তিনি তো তোমাদের সৃষ্টি করেছেন মাটির দ্বারা, অতঃপর শুক্রবিন্দু দ্বারা, অতঃপর জমাট রক্ত দ্বারা, অতঃপর তোমাদেরকে বের করেন শিশুরূপে, অতঃপর তোমরা যৌবনে পদর্পণ কর, অতঃপর বার্ধক্যে উপনীত হও। তোমাদের কারও কারও এর পূর্বেই মৃত্যু ঘটে এবং তোমরা নির্ধারিত কালে পৌঁছ এবং তোমরা যাতে অনুধাবন কর।


هُوَ الَّذِیْ یُحْیٖ وَ یُمِیْتُۚ-فَاِذَا قَضٰۤى اَمْرًا فَاِنَّمَا یَقُوْلُ لَهٗ كُنْ فَیَكُوْنُ۠(68.)

উচ্চারণঃ হুওয়াল্লাযী ইউহয়ী ওয়া ইউমীতু ফাইযা-কাদাআমরান ফাইন্নামা-ইয়াকূলুলাহূ কুন ফাইয়াকূন।

অর্থ: তিনিই জীবিত করেন এবং মৃত্যু দেন। যখন তিনি কোন কাজের আদেশ করেন, তখন একথাই বলেন, হয়ে যা’-তা হয়ে যায়।


اَلَمْ تَرَ اِلَى الَّذِیْنَ یُجَادِلُوْنَ فِیْۤ اٰیٰتِ اللّٰهِؕ-اَنّٰى یُصْرَفُوْنَ ﳝ(69.)

উচ্চারণঃ আলাম তারা ইলাল্লাযীনা ইউজা-দিলূনা ফীআ-য়া-তিল্লা-হি আন্না ইউসরাফূন।অর্থ: আপনি কি তাদেরকে দেখেননি!, যারা আল্লাহর আয়াত সম্পর্কে বিতর্ক! করে, তারা কোথায় ফিরছে?.


الَّذِیْنَ كَذَّبُوْا بِالْكِتٰبِ وَ بِمَاۤ اَرْسَلْنَا بِهٖ رُسُلَنَا ﱡ فَسَوْفَ یَعْلَمُوْنَۙ(70.)

উচ্চারণঃ আল্লাযীনা কাযযাবূবিলকিতা-বি ওয়া বিমা আরছালনা- বিহী রুছুলানা- ফাছাওফা ইয়া‘লামূন।

অর্থ: যারা কিতাবের প্রতি এবং যে বিষয় দিয়ে আমি পয়গম্বরগণকে প্রেরণ করেছি, সে বিষয়ের প্রতি মিথ্যারোপ করে। অতএব, সত্বরই তারা জানতে পারবে।


اِذِ الْاَغْلٰلُ فِیْۤ اَعْنَاقِهِمْ وَ السَّلٰسِلُؕ-یُسْحَبُوْنَۙ(71.)

উচ্চারণঃ ইযিল আগলা-লুফীআ‘না-কিহিম ওয়াছ ছালা-ছিলু ইউসহাবূন।

৭১. যখন বেড়িও শৃঙ্খল তাদের গলদেশে পড়বে। তাদেরকে টেনে নিয়ে যাওয়া হবে।


فِی الْحَمِیْمِ ﳔ ثُمَّ فِی النَّارِ یُسْجَرُوْنَۚ(72.)

উচ্চারণঃফিল হামীমি ছু ম্মা ফিন্না-রি ইউছজারূন।

অর্থ: ফুটন্ত পানিতে!, অতঃপর তাদেরকে আগুনে জ্বালানো হবে।.


ثُمَّ قِیْلَ لَهُمْ اَیْنَ مَا كُنْتُمْ تُشْرِكُوْنَۙ(73.)

উচ্চারণঃ ছু ম্মা কীলা লাহুম আইনা মা-কুনতুম তুশরিকূন।

অর্থ: অতঃপর তাদেরকে বলা হবে!, কোথায় গেল যাদেরকে তোমরা শরীক করতে.।


- مِنْ دُوْنِ اللّٰهِؕ-قَالُوْا ضَلُّوْا عَنَّا بَلْ لَّمْ نَكُنْ نَّدْعُوْا مِنْ قَبْلُ شَیْــٴًـاؕ-كَذٰلِكَ یُضِلُّ-. اللّٰهُ الْكٰفِرِیْنَ-(74.)

উচ্চারণঃ মিন দূ নিল্লা-হি কা-লূদাললূ‘আন্না-বাল লাম নাকুন নাদ‘ঊ মিন কাবলুশাইআন কাযা-লিকা ইউদিল্লুল্লা-হুল কা-ফিরীন।

অর্থ: আল্লাহ ব্যতীত? তারা বলবে, তারা আমাদের কাছ থেকে উধাও হয়ে গেছে; বরং আমরা তো ইতিপূর্বে কোন কিছুর পূজাই করতাম না। এমনি ভাবে আল্লাহ কাফেরদেরকে বিভ্রান্ত করেন।


ذٰلِكُمْ بِمَا كُنْتُمْ تَفْرَحُوْنَ فِی-. الْاَرْضِ بِغَیْرِ الْحَقِّ وَ بِمَا كُنْتُمْ تَمْرَحُوْنَۚ-(75.)

উচ্চারণঃ যা-লিকুমবিমা- কুনতুম তাফরাহূনা ফিল আরদি বিগাইরিল হাক্কি ওয়া বিমা-কুনতুম তামরাহূন।

অর্থ: এটা একারণে যে!, তোমরা দুনিয়াতে অন্যায়ভাবে আনন্দ-উল্লাস করতে এবং এ কারণে যে!, তোমরা ঔদ্ধত্য করতে.।


- اُدْخُلُوْۤا اَبْوَابَ جَهَنَّمَ خٰلِدِیْنَ فِیْهَاۚ-فَبِئْسَ مَثْوَى الْمُتَكَبِّرِیْنَ-(76.)

উচ্চারণঃ উদখুলূআবওয়া-বা জাহান্নামা খা-লিদীনা ফীহা- ফাবি’ছা মাছওয়াল মুতাকাববিরীন।

অর্থ: প্রবেশ কর তোমরা জাহান্নামের দরজা দিয়ে সেখানে চিরকাল বসবাসের জন্যে। কত নিকৃষ্ট দাম্ভিকদের আবাসস্থল।


-. فَاصْبِرْ اِنَّ وَعْدَ اللّٰهِ حَقٌّۚ-فَاِمَّا نُرِیَنَّكَ بَعْضَ الَّذِیْ نَعِدُهُمْ اَوْ نَتَوَفَّیَنَّكَ فَاِلَیْنَا یُرْجَعُوْنَ-(77.)

উচ্চারণঃ ফাসবির ইন্না ওয়া‘দাল্লা-হি হাক্কুন ফাইম্মা-নুরিয়ান্নাকা বা‘দাল্লাযী না‘ইদুহুম আও নাতাওয়াফফাইয়ান্নাকা ফাইলাইনা-ইউরজা‘ঊন।

অর্থ: অতএব আপনি সবর করুন। নিশ্চয় আল্লাহর ওয়াদা সত্য। অতঃপর আমি কাফেরদেরকে যে শাস্তির ওয়াদা দেই, তার কিয়দংশ যদি আপনাকে দেখিয়ে দেই অথবা আপনার প্রাণ হরণ করে নেই, সর্বাবস্থায় তারা তো আমারই কাছে ফিরে আসবে।


وَ لَقَدْ اَرْسَلْنَا رُسُلًا مِّنْ قَبْلِكَ مِنْهُمْ مَّنْ قَصَصْنَا عَلَیْكَ وَ مِنْهُمْ مَّنْ لَّمْ نَقْصُصْ عَلَیْكَؕ-وَ مَا كَانَ لِرَسُوْلٍ اَنْ یَّاْتِیَ بِاٰیَةٍ اِلَّا بِاِذْنِ اللّٰهِۚ-فَاِذَا جَآءَ اَمْرُ اللّٰهِ قُضِیَ بِالْحَقِّ وَ خَسِرَ هُنَالِكَ الْمُبْطِلُوْنَ۠(78.)

উচ্চারণঃ ওয়া লাকাদ আরছালনা-রুছুলাম মিন কাবলিকা মিনহুম মান কাসাসনা-‘আলাইকা ওয়া মিনহুম মাল্লাম নাকসুস ‘আলাইকা ওয়ামা-কা-না লিরাছূলিন আইঁ ইয়া’তিয়া বিআয়াতিন ইল্লা-বিইযনিল্লা-হি ফাইযা-জাআ আমরুল্লা-হি কুদিয়া বিলহাক্কিওয়া খাছিরা হুনা-লিকাল মুবতিলূন।

অর্থ: আমি আপনার পূর্বে অনেক রসূল প্রেরণ করেছি, তাদের কারও কারও ঘটনা আপনার কাছে বিবৃত করেছি এবং কারও কারও ঘটনা আপনার কাছে বিবৃত করিনি। আল্লাহর অনুমতি ব্যতীত কোন নিদর্শন নিয়ে আসা কোন রসূলের কাজ নয়। যখন আল্লাহর আদেশ আসবে, তখন ন্যায় সঙ্গত ফয়সালা হয়ে যাবে। সেক্ষেত্রে মিথ্যাপন্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।


اَللّٰهُ الَّذِیْ جَعَلَ لَكُمُ الْاَنْعَامَ لِتَرْكَبُوْا مِنْهَا وَ مِنْهَا تَاْكُلُوْنَ٘(79.)

উচ্চারণঃ আল্লা-হুল্লাযী জা‘আলা লাকুমুল আন‘আ-মা লিতারকাবূমিনহা-ওয়া মিনহা-তা’কুলূন।

অর্থ: আল্লাহ তোমাদের জন্যে চতুস্পদ! জন্তু সৃষ্টি করেছেন!, যাতে কোন কোনটিই বাহন হিসাবে ব্যবহার কর! এবং কোন কোনটিকে ভক্ষণ কর।.


وَ لَكُمْ فِیْهَا مَنَافِعُ وَ لِتَبْلُغُوْا عَلَیْهَا حَاجَةً فِیْ صُدُوْرِكُمْ وَ عَلَیْهَا وَ عَلَى الْفُلْكِ تُحْمَلُوْنَؕ(80.)

উচ্চারণঃ ওয়ালাকুম ফীহা-মানা-ফি‘উ ওয়ালিতাবলগূ ‘আলাইহা-হা-জাতান ফী সদূরিকুম ওয়া ‘আলাইহা-ওয়া ‘আলাল ফুলকি তুহমালূন।

অর্থ: তাতে তোমাদের জন্যে অনেক উপকারিতা রয়েছে আর এজন্যে সৃষ্টি করেছেন; যাতে সেগুলোতে আরোহণ করে তোমরা তোমাদের অভীষ্ট প্রয়োজন পূর্ণ করতে পার। এগুলোর উপর এবং নৌকার উপর তোমরা বাহিত হও।


وَ یُرِیْكُمْ اٰیٰتِهٖ -.ﳓ فَاَیَّ اٰیٰتِ اللّٰهِ تُنْكِرُوْنَ-(81.)

উচ্চারণঃ ওয়া ইউরীকুম আ-য়া-তিহী ফাআইয়া আ-য়া-তিল্লা-হি তুনকিরূন।

অর্থ: তিনি তোমাদেরকে তাঁর নিদর্শনাবলী দেখান। অতএব, তোমরা আল্লাহর কোন কোন নিদর্শনকে অস্বীকার করবে?


اَفَلَمْ یَسِیْرُوْا فِی الْاَرْضِ فَیَنْظُرُوْا كَیْفَ كَانَ عَاقِبَةُ الَّذِیْنَ مِنْ قَبْلِهِمْؕ-كَانُوْۤا اَكْثَرَ مِنْهُمْ وَ-, اَشَدَّ قُوَّةً وَّ اٰثَارًا فِی الْاَرْضِ فَمَاۤ اَغْنٰى-. عَنْهُمْ مَّا كَانُوْا یَكْسِبُوْنَ-(82.)

উচ্চারণঃ আফালাম ইয়াছীরূফিল আরদিফাইয়ানজুরূকাইফা কা-না ‘আ-কিবাতুল্লাযীনা মিন কাবলিহিম কা-নূআকছারা মিনহুম ওয়া আশাদ্দা কুওওয়াতাঁও ওয়া আছা-রান ফিল আরদিফামাআগনা-‘আনহুম মা-কা-নূইয়াকছিবূন।

অর্থ: তারা কি পৃথিবীতে ভ্রমণ করেনি? করলে দেখত, তাদের পূর্ববর্তীদের কি পরিণাম হয়েছে। তারা তাদের চেয়ে সংখ্যায় বেশী এবং শক্তি ও কীর্তিতে অধিক প্রবল ছিল, অতঃপর তাদের কর্ম তাদেরকে কোন উপকার দেয়নি।


- فَلَمَّا جَآءَتْهُمْ رُسُلُهُمْ بِالْبَیِّنٰتِ. فَرِحُوْا بِمَا عِنْدَهُمْ مِّنَ الْعِلْمِ وَ حَاقَ بِهِمْ مَّا كَانُوْا بِهٖ یَسْتَهْزِءُوْنَ-(83.)

উচ্চারণঃফালাম্মা-জাআতহুম রুছুলুহুম বিলবাইয়িনা-তি ফারিহূবিমা-‘ইনদাহুম মিনাল ‘ইলমি ওয়া হা-কা বিহিম মা-কা-নূবিহী ইয়াছতাহঝিঊন।

অর্থ: তাদের কাছে যখন তাদের রসূলগণ স্পষ্ট প্রমাণাদিসহ আগমন করেছিল, তখন তারা নিজেদের জ্ঞান-গরিমার দম্ভ প্রকাশ করেছিল। তারা যে বিষয় নিয়ে ঠাট্টাবিদ্রুপ করেছিল, তাই তাদেরকে গ্রাস করে নিয়েছিল।


فَلَمَّا رَاَوْا بَاْسَنَا قَالُوْۤا اٰمَنَّا بِاللّٰهِ-. وَحْدَهٗ وَ كَفَرْنَا بِمَا كُنَّا بِهٖ مُشْرِكِیْنَ-(84.)

উচ্চারণঃ ফালাম্মা-রাআও বা’ছানা-কা-লূআ-মান্না-বিল্লা-হি ওয়াহদাহূওয়া কাফার না-বিমাকুন্না-বিহী মুশরিকীন।

অর্থ: তারা যখন আমার শাস্তি প্রত্যক্ষ করল, তখন বলল, আমরা এক আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস করলাম এবং যাদেরকে শরীক করতাম, তাদেরকে পরিহার করলাম।

فَلَمْ یَكُ یَنْفَعُهُمْ اِیْمَانُهُمْ لَمَّا رَاَوْا بَاْسَنَاؕ-سُنَّتَ اللّٰهِ الَّتِیْ قَدْ خَلَتْ فِیْ عِبَادِهٖۚ-وَ خَسِرَ هُنَالِكَ الْكٰفِرُوْنَ۠(85.)

উচ্চারণঃ ফালাম ইয়াকুইয়ানফা‘উহুম ঈমা-নুহুম লাম্মা-রাআও বা’ছানা- ছুন্নাতাল্লা-হিল্লাতী কাদ খালাত ফী ‘ইবা-দিহী ওয়া খাছিরা হুনা-লিকাল কা-ফিরূন

অর্থ: অতঃপর তাদের এ ঈমান তাদের কোন উপকারে আসল না যখন তারা শাস্তি প্রত্যক্ষ করল। আল্লাহর এ নিয়মই পূর্ব থেকে তাঁর বান্দাদের মধ্যে প্রচলিত হয়েছে। সেক্ষেত্রে কাফেররা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

Quraan Shareef । Privacy Policy

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন